ঢাকা ০৭ জানুয়ারি ২০২৫, ২৩ পৌষ ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

সিরাজগঞ্জে জোড়া খুনের মামলায় ৪ জনের  মৃত্যুদণ্ড ও ৮ জনের যাবজ্জীবন

সিরাজগঞ্জে জোড়া খুনের মামলায় ৪ জনের  মৃত্যুদণ্ড ও ৮ জনের যাবজ্জীবন

সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলার জোড়া খুনের মামলায় ৪ আসামিকে মৃত্যুদণ্ড এবং ৮ আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত।

সেইসাথে মৃত্যদণ্ডপ্রাপ্ত ৪ আসামিকে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরো ৩ মাস করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড এবং যাবজ্জীবনপ্রাপ্ত ৮ আসামিকে ২৫ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরো ৩ মাস করে বিনাশ্রম কারাদণ্ডাদেশ দেয়া হয়েছে।

রোববার দুপুরে সিরাজগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ-৩ আদালতের বিচারক মাহবুবুর রহমান এ রায় দেন। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলো- উল্লাপাড়া উপজেলার চক পাঙ্গাসী গ্রামের হাসানুর হাসু (৪৫), একই গ্রামের কাওছার আলী (৪২), মোয়াজ্জেম হোসেন রিন্টু ও জাহিদুল ইসলাম জালিম। যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- একই গ্রামের আশরাফ (৫০), মোতালেব (৪০), রেজাউল (৩২), দুলাল (৩৫), মনিরুল (৩০), সাদ্দাম (২৮), বেল্লাল (৫০) ও আওয়াল (৩০)। ওই আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট হামিদুল ইসলাম দুলাল এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি মামলার বরাত দিয়ে জানান, উল্লাপাড়া উপজেলার চকপাঙ্গাসী গ্রামের সাইফুল ইসলামের সঙ্গে প্রতিবেশী আবুল কালামের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল দীর্ঘদিন ধরে। এরই জের ধরে ২০১৭ সালের ২১ জানুয়ারি সকালে সাইফুল ইসলাম তার ভাই সোনা মিয়া, আবুল কালাম, মকবুল হোসেনসহ অন্যরা বাড়িতে বসে ছিলেন।

এসময় আসামি হাসানুর রহমান হাসুর নেতৃত্বে অন্যান্য আসামিরা লাঠিসোটা, দেশীয় অস্ত্রসহ লোকজন নিয়ে বাড়ি-ঘরে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে। এক পর্যায়ে তারা মকবুল হোসেন, আবুল কালাম, সাইফুল ইসলাম ও সোনা মিয়াকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে।

প্রতিবেশীরা ঘটনাস্থলে এসে তাদের উদ্ধার করে সিরাজগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি পর মকবুল হোসেন, সোনা মিয়া ও সাইফুল ইসলামের অবস্থার অবনতি হলে তাদের প্রথমে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং ঢাকার হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মকবুল হোসেন ও সাইফুল ইসলামের মৃত্যু হয়।

এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট থানায় জোড়া খুনের মামলা দায়ে করে। এ মামলায় সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে বিজ্ঞ আদালাত উল্লেখিত রায় ঘোষণা দেন।

যাবজ্জীবন,মৃত্যুদণ্ড,জোড়া খুন
আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত